একটু পরই শুরু হবে ঘোড়দৌড়! এমন সময় দেখা গেল এক জকি তাঁর ঘোড়াকে কী যেন
খাওয়াচ্ছেন। দেখেই এক নিরাপত্তাকর্মী ছুটে এলেন। রাগতস্বরে বললেন, ‘হেই!
আপনি আপনার ঘোড়াকে কোনো শক্তিবর্ধক মাদক খাওয়াচ্ছেন না তো?’
জকি বললেন, ‘না, না! এটা একটা চকলেট। নিন নিন, আপনিও খান। এই দেখুন, আমিও
খাচ্ছি। এটা একটা সাধারণ চকলেট ছাড়া কিছুই না।’ নিরাপত্তারক্ষী জকির দেওয়া
চকলেটসদৃশ বস্তুটা মুখে দিলেন। বললেন, ‘হু, চকলেটই তো মনে হচ্ছে। ঠিক আছে।’
নিরাপত্তারক্ষী চলে গেলেন। জকি এবার ফিসফিস করে তাঁর ঘোড়ার কানে কানে
বললেন, ‘এখন দৌড়ে তোকে কেউ হারাতে পারবে না। শুধু আমি আর ওই নিরাপত্তারক্ষী
ছাড়া!’
সরদারজি ঘোড়ার পিঠে চাপলেন। ঘোড়া ছুটতে শুরু করল। প্রথম প্রথম মজাই
পাচ্ছিলেন সরদারজি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর যখন ঘোড়ার দৌড়ের বেগ বেড়ে গেল,
ঘাবড়ে গেলেন তিনি। ঘোড়ার গলা আঁকড়ে ধরলেন, তাতেও খুব একটা সুবিধা করতে
পারলেন না। এদিকে এই দৃশ্য দেখে তারস্বরে চেঁচাতে শুরু করলেন সরদারজির
স্ত্রী, ‘বাঁচাও! বাঁচাও! কে কোথায় আছ, আমার স্বামীকে বাঁচাও!’
সরদারজি ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গেলেন! কোনোমতে গলা জড়িয়ে ধরে ঝুলে থাকলেন।
চিৎকার করে কাঁদতে লাগলেন! ঘোড়ার গলা ছেড়ে দিলেই ধপাস, গুরুতর আহত হওয়ার
আশঙ্কা! শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি! এখন উপায়?
এমন সময় এগিয়ে এলেন শিশুপার্কের এক কর্মী। তিনি ঘোড়ার রাইডের বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দিলেন। সরদারজি প্রাণে বাঁচলেন!
ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চায় রবিন। কিন্তু তার নিজের কোনো ঘোড়া নেই।
অতএব, সে এক খামারমালিকের কাছ থেকে তাঁর ঘোড়াটা ধার করল। ঘোড়ার মালিক
বললেন, ‘আমার ঘোড়াটা খুবই ভালো দৌড়ায়। কিন্তু লাফ দেওয়ার আগে ওকে একটা
সংকেত দিতে হয়। আপনি যখন বলবেন হুরররর্, তখনই সে লাফ দেবে।’
কথামতোই কাজ করল রবিন। ঘোড়দৌড়ের মাঠে যখনই বেড়ার ওপর দিয়ে লাফ দেওয়ার
প্রয়োজন পড়ে, রবিন বলে ‘হুরররর্’। আর ঘোড়াটা লাফ দিয়ে বেড়া ডিঙিয়ে যায়। এমন
করে দুটো বেড়া পার হওয়া গেল। পরেরবার রবিন ‘হুরররর্’ বলল ঠিকই, কিন্তু
ঘোড়া তো আর লাফায় না! বেড়া ভেঙেচুরে একেবারে কুপোকাত!
রেগেমেগে ঘোড়ার মালিকের কাছে গেল রবিন। বলল, ‘ধুর মিয়া, আপনার ঘোড়াটা কানে
কম শোনে। আমি চিৎকার করে বললাম, হুরররর্, ব্যাটা শুনলই না!’
ঘোড়ার মালিক বললেন, ‘সে কি, না তো! ওর কানে কোনো সমস্যাই নেই! শুধু বেচারা চোখে দেখে না!’
সরদারজি একবার ৩০০ পৃষ্ঠার একটা বই লিখলেন। বইয়ের নাম ঘোড়া কীভাবে দৌড়ায়।
মলাট ওল্টালে বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠায় বড় করে আরও একবার বইয়ের নাম লেখা। বাকি
২৯৯ পৃষ্ঠাজুড়ে লেখা, ‘টকা টক টকা টক টকা টক...’।
মোসলেম সাহেবের গাড়িটা বিগড়ে গেল একটা মাঠের পাশে। কিছুতেই ঠিক করা যাচ্ছে
না। এমন সময় কোথা থেকে এক ঘোড়া এসে হাজির। ঘোড়াটা বলল, ‘আমার ধারণা, আপনার
গাড়ির কার্বুরেটরে সমস্যা আছে।’
সে কি! ঘোড়া কথা বলে! ভূত-টুত না তো? মোসলেম সাহেব ‘মা গো, বাবা গো’ বলে ঝেড়ে দৌড় লাগালেন!
ছুটতে ছুটতে দেখা হলো এক কৃষকের সঙ্গে। কৃষক বললেন, ‘কী হলো সাহেব, অমন উদ্ভ্রান্তের মতো ছুটছেন কেন?’
মোসলেম বললেন, ‘আর বলবেন না, আমার গাড়িটা মাঠের পাশে নষ্ট হয়ে গেল। এমন সময়
কোথা থেকে এক ঘোড়া এসে বলে, “মনে হয় আপনার কার্বুরেটরে সমস্যা আছে!” কী
ভয়ানক ব্যাপার!’
কৃষক বললেন, ‘ঘোড়াটা কি লাল? গলার কাছে সাদা সাদা ফুটকি আছে?’
মোসলেম বললেন, ‘আজ্ঞে হ্যাঁ। আপনি কী করে জানলেন?’
কৃষক: ‘আরে ওটা তো আমার ঘোড়া! আপনি নিশ্চয়ই ভুল শুনেছেন।’
মোসলেম: ভুল শুনিনি। বিশ্বাস করুন!
কৃষক: অসম্ভব। আমার ঘোড়াটা তো গাড়ি সম্পর্কে কিছুই জানে না!